ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ , ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এপ্রিলে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবি মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে ডেঙ্গুর তীব্র ঢেউয়ের শঙ্কাতেও প্রতিরোধ প্রস্তুতিতে নজর নেই ঈদ উপলক্ষে অর্ধেকের বেশি গার্মেন্ট কারখানা এখনও বন্ধ এবার বায়ুদূষণে শীর্ষে কাঠমান্ডু স্থানীয় সরকার সচিবকে জনপ্রশাসনে সংযুক্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে উপচেপড়া ভিড়, রাজস্ব আয় ৫ লাখ চাটমোহরের হান্ডিয়ালে জমি জবরদখলের অভিযোগ বরিশালে কল্যাণ কেন্দ্রের কল্যাণে জন্ম নিয়েছে ১১৩ নবজাতক কিশোরগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ভূমিকম্পকে ব্যবহার করে মিয়ানমার জান্তার ত্রাণ নিয়ে কারসাজি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী সর্ববৃহৎ সমাবেশ শুল্ক ঘোষণার পর জেপি মরগানের পূর্বাভাস ভারতে ৭০ বাংলাদেশি পর্যটক নিয়ে বাস উল্টে নিহত ১ রাফাহ শহরকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করল ইসরাইল ব্যাটারের কাছাকাছি উদ্যাপনে পাওয়া শাস্তির ডাবল পেলেন দূরে করে
ইসরায়েলি বাহিনীর মিথ্যাচার উন্মোচন করলো নিউ ইয়র্ক টাইমস!

জরুরি আলো জ্বলছিল অ্যাম্বুলেন্সে, তবুও চলে গুলি

  • আপলোড সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০২:৩২:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০৩:০৭:৪২ অপরাহ্ন
জরুরি আলো জ্বলছিল অ্যাম্বুলেন্সে, তবুও চলে গুলি
২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালিয়ে ১৫ স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছিল ইসরায়েল। হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে নির্মমভাবে ধুলোর নিচে গণকবরে চাপা দেয়া হয় লাশ। মর্মান্তিক এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসলে ইসরায়েল দাবি করে, অ্যাম্বুলেন্স হেডলাইট ছাড়া-ই চলছিল এবং হামাস যোদ্ধাদের পরিবহন করছিল। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস গতকাল শনিবার একটি প্রতিবেদনে ভিডিও প্রকাশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, যখন গুলি চালানো হয় তখন ফিলিস্তিনি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাকে স্পষ্টভাবে জরুরি আলো জ্বলছিল। এই ভিডিওটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবির বিরোধিতা করে এবং ইসরায়েলি মিথ্যাচারকে প্রকাশ্যে আনে। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ভিডিও সম্পর্কে উগ্র ইহুদিবাদি সরকার কোনো মন্তব্য করেনি। একজন চিকিৎসকের মোবাইল ফোনে ভিডিওটি পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। গত শুক্রবার জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ভিডিওটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জমা দেবেন। প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকাটি জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের কাছ থেকে ভিডিওটি পেয়েছে, যিনি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তারা ভিডিওটির সময় এবং স্থান যাচাই করেছে। কূটনীতিকের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, ভিডিওটি ধারণকারী চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করা হয়নি, কারণ তার পরিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে প্রতিশোধের ভয় পাচ্ছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সের একটি বহর এবং একটি দমকলের গাড়ি তাদের জরুরি আলো জ্বলতে জ্বলতে রাস্তা দিয়ে ছুটে যাচ্ছে। তারপর রাস্তা থেকে লাইনচ্যুত অন্য একটি গাড়ির পাশে এসে থামছে। পাশের ওই গাড়িটি যখন ঘটনাস্থলের কাছে পৌঁছায়, তখন একজন লোককে বলতে শোনা যায়, ‘হে স্রষ্টা, আমি আশা করি তারা ঠিক আছে... দেখো তারা চারপাশে পড়ে আছে, তারা সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দ্রুত, দ্রুত...,মনে হচ্ছে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ ভিডিওটি ধারণকারী ব্যক্তিটি তারপর তার গাড়ি থেকে নেমে আসেন। লাইনচ্যুত গাড়ির দিকে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর লোকটিকে কলেমা শাহাদাত পাঠ করতে শোনা যায়, যা সাধারণত মৃত্যুর আগে পড়া হয়। সেই মুহূর্তে, ভিডিওটি অন্ধকার হয়ে যায়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, এরপর পাঁচ মিনিট ধরে গুলিবর্ষণ চলতে থাকে। পত্রিকা জানিয়েছে, এই পাঁচ মিনিটের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে আরবিতে বলতে শোনা যায়, এখানে ইসরায়েলিরা আছে। অন্য দিক থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের হিব্রু ভাষায় অস্পষ্ট আদেশ দিতে শোনা যায়। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ধুলোর মধ্যে একটি কবর থেকে রেড ক্রিসেন্ট, জাতিসংঘ এবং হামাস-সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের ১৫ জন চিকিৎসক ও সাহায্যকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সাথে ছিন্নভিন্ন অ্যাম্বুলেন্সও রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্ভবত বুলডোজার দিয়ে তাদের ধুলোর নিচে চাপা দেয়। গত শুক্রবার ৪ এপ্রিল জাতিসংঘের সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের প্রধান ড. ইউনিস আল-খাতিব বলেন, মানবিক-কর্মীদের খুব কাছ থেকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল’ এবং ইসরায়েল মৃতদেহগুলোর অবস্থান সম্পর্কে আট দিন ধরে আমাদের অন্ধকারে রেখেছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হামলার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে নেয়া স্যাটেলাইট চিত্রগুলো দেখে ইসরায়েলি সেনারা গাড়িগুলোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে একসাথে জড়ো করে রাখে। দুই দিন পর তোলা ছবিতে দেখা যায় যে, গাড়িগুলো মাটিচাপা পড়ে আছে। খন্ডিত মাটির পাশে তিনটি ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এবং একটি খননকারী যন্ত্রও রয়েছে। এছাড়া গণকবরের উভয় দিকেই বুলডোজারগুলো রাস্তায় মাটির বাধ তৈরি করেছে। ২৩ মার্চ রাফায় আহতদের সাহায্য করতে যাওয়ার পথে এসব চিকিতসাকর্মী নিখোঁজ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। ঘটনা আলোচনায় এলে ২৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ইঞ্জিনের ওপর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে বলেছিল, তারা এগুলোকে ‘সন্দেহজনক যানবাহন’ হিসাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু করার এবং তারপর নতুন করে স্থল আক্রমণ শুরু করার পাঁচদিন পর গণহত্যার ওই ঘটনাটি ঘটেছিল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স